শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : আগামী ২০১৭ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসির এমসিকিউ পরীক্ষায় ১০ নম্বর কমছে।এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পাবলিক পরীক্ষাতেই সৃজনশীল পরীক্ষার আগে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারবিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষার হলগুলোতে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ২০১৬ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের পরীক্ষার আগে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। এতদিন এসব পাবলিক পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা শুরুতে সম্পন্ন হওয়ার পর এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত হয়, ২০১৭ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে এমসিকিউ পরীক্ষার মোট নম্বর থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে দেওয়া হবে। ফলে বর্তমানে যেসব বিষয়ে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হয় সেসব বিষয়ে ৩০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হবে। আর যেসব বিষয়ে ৩৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হয়, সেসব বিষয়ে ২৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে হ্রাসকৃত ১০ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে যুক্ত হবে। সভায় জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি তিনটি পরীক্ষাতেই দিনের সংখ্যা ও সময়সীমা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এজন্য জেএসসি ও এসএসসিতে মৌলিক বিষয়গুলোর পাবলিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা ও অন্য বিষয়গুলোর স্কুলভিত্তিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটিবিচ্যুতি পরিহার করাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সময় বৃদ্ধি ও প্রাইভেট কোচিং নিরুৎসাহিত করার জন্য আরো উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি খুঁজে বের করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের মানের পরিমাপক হিসেবে যথার্থ পরীক্ষা পদ্ধতি খুঁজে বের করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের এ আলোচনা একেবারেই প্রাথমিক ও ‘ব্রেনস্ট্রমিং’ পর্যায়ে রয়েছে। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালার আয়োজনসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভায় পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও প্যাকেটজাতকরণের জন্য বিজিপ্রেসকে সম্পূর্ণভাবে অটোমোশনের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিজি প্রেসকে পুরোপুরি অটোমোশন করা হলে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ক্ষেত্রে মানুষের কোনো প্রকার স্পর্শ ছাড়াই প্রশ্নপত্র ছাপানো ও প্যাকেটজাতকরণ সম্ভব হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান, রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।